Wednesday 28 October 2015

বিদেশী ক্লাবের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য

 ইস্টবেঙ্গল নামটার সঙ্গেই আছে অনেক ইতিহাস। একের পর এক জয়, অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম সবকিছু নিয়েই উজ্জ্বল হয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠান। ফুটবল আজ শুধুমাত্র আর খেলা নেই। সারা বিশ্বে ফুটবলকে মাধ্যম করে রয়েছে বাংলার আবেগ। ভারতীয় ফুটবলে ঞ্জির করেছে এই ক্লাব। শুধু তাই নয়, ভারতবর্ষের ক্লাব ফুটবলকে সাফাল্য দেওয়ায় পিছনেও অগ্রণী ভুমিকা এই ইস্টবেঙ্গলেরই।
১৯৭০। ইস্টবেঙ্গল ১-০। পাস ক্লাব। ইরান- আই এফ শিল্ড। ভারতীয় ফুটবলের এক অবিস্মরণীয় সময়।  লাল- হলুদের জয়। শুধু তাই নয়। বিদেশের মাটিতে বাংলার এই প্রথম জয়। ভারতীয় ফুটবলে উঠে এল সুরজিৎ সেনগুপ্ত, পিটার থাংগারাজ, শান্ত মিত্র, শ্যাম থাপা দের মত ফুটবলার।
১৯৮৬। ইস্টবেঙ্গল ৩-১। লাভেন্টিস ইউনাইটেড, নাইজেরিয়া আই এফ এ শিল্ড। লেভেন্টিস ইউনাইটেড এর সঙ্গে জোট বাঁধল ইস্টবেঙ্গল। আফ্রিকান মহাদেশের এই শক্তিশালী দলের সঙ্গে নিজেদের এক করে নিল ইস্টবেঙ্গল। ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৮৬ তারিখটা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে রইল।
১৯৯৩-৯৪। ইস্টবেঙ্গল ৬-২। আলজাউরাস এস সি, ইরাক-এসিয়ান কাপ। এক্ষেত্রে বলতেই হয় এই ম্যাচ খেলার জন্য বাংলা থেকে লাল-হলুদ ব্রিগেড ১০ বার খেলার সুযোগ পায়। যা বাংলাকে আজও গর্বিত করে।
১৯৯৭-৯৮। ইস্টবেঙ্গল ১-০। ভারডি কাওয়াসাকি জাপান- এশিয়ান কাপ। এই বছর ইস্টবেঙ্গলের মুকুটে যোগ হল আরও এক পালক। নেপালে ত্রিভুবন ক্লাবকে ৮-০ তে হারায় লাল-হলুদের ফুটবলাররা। সুযোগ পায় জাপানের ভারডি কাওয়াসাকি এর মত শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলার। যদিও সেখানে রানার্স আপ হয় ইস্টবেঙ্গল।
২০০৩। ইস্টবেঙ্গল ৩-১। বি ই সি থাইল্যান্ড এল জি আসিয়ান কাপ। ইন্দোনেশিয়া মানেই ইতিহাসের রচনা।  ২০০৩ এ ইন্দোনেশিয়ার মাঠেই লেখা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এর ঐতিহাসিক সেই ঘটনা। ভারতের প্রথম ক্লাবদল যারা আসিয়ান কাপ জিতেছিল। এই জয় যা আর কোন ক্লাবের পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব নয়। ১০ বছর পর আবার সেই স্মৃতি। সিমেন- পাডাং কে ১-১ ড্র করে তাদের ঘরের মাঠেই হারায়।  পেয়েছিল এ.এফ.সি . কাপের সেমিফাইনালে খেলার ছাড়পত্র।
ফুটবলে এসেছে নতুন চমক। আই এস এল এর দৌলতে ভারতীয় ফুটবল যখন আজ সারা দুনিয়ায় আলোচ্য বিষয়, তখন সেই দল গুলোতে দর্শকরা খুঁজে পাচ্ছে তাদের ফুটবলার দের। দেখতে পাচ্ছি কি অসাধারণ ভাবে বিদেশী ফুটবলার দের মাঝে নিজেদের প্রতিভা প্রমান করছে।  দিচ্ছে টক্কর।
আবার ই পি এল বুন্দেসলীগা, লা লীগার পর ফরথ মোস্ট পপুলার ফুটবল লীগ ফিফার একটা টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ কে আরও মসৃণ করল।
ভাবতে ভাল লাগে আমি এই ক্লাবের সঙ্গে কিছুটা সময় থাকতে পেরেছি। ইস্টবেঙ্গলের একজন প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে প্রার্থনা করব তারা যেন এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। গড়তে পারে নতুন ইতিহাস। আসলে এই জয় তো তাদের একার নয়। এই জয় আবেগের, ভালবাসার, বিশ্বাসের।

No comments:

Post a Comment