Monday 30 November 2015

মুম্বাইএর আজ ডু অর ডাই

 চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই ও মুম্বাই। এখনও পর্যন্ত চেন্নাই এর দখলে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। অপরদিকে মুম্বাই এর কাছে ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। চেন্নাই এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট পেলে উঠে আসবে তালিকার চার নম্বরে। এখনও পর্যন্ত লীগ তালিকায় ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে নর্থইস্ট আছে চারে। তাদের এই স্থান পাকা করতে তাকিয়ে থাকতে আজ এবং পুনের দিকে। আজকের এই ম্যাচ চেন্নাই এর কাছে একটাই সুযোগ।
চেন্নাই এর ঘরের মাঠে শেষবারের মত জ্বলে উঠতে চাইবে মেন্ডিরা। আজ ম্যাচে নজর থাকবে মেন্ডোজারদিকে। ১০ টি গোল পেয়েছেন এই মরসুমে সব থেকে বেশি গোল পেয়েছেন তিনি। ভরসা থাকবে মেন্ডির উপর। দলের পিছিয়ে পরা থেকে এগিয়ে আসাতে তার অসাধারণ খেলা বারবার চোখে পড়েছে। বলতেই হয় রাফায়েল অগাস্তের কথা। ২৪ বছরের এই ফুটবলারের খেলার জীবনে এখনও ৫৬৭ টি পাস খেলেছেন তিনি। স্বার্থহীন ভাবে খেলা বোধহয় একেই বলে।
মুম্বাই সিটি ভাল অবস্থায় নাও থাকলে তার নিশ্চয় চাইবে খেলার মাঠে সেরাটা দিতে। দলে আছেন সুনীল ছেত্রি। এই মরসুমে মুম্বাই এর হয়ে সব থেকে বেশি গোল করেন সুনীল। তার দখলে ৬ টি। আজ আগুইলেরার গোলে ফিরতেই পারেন মুম্বাই। চেন্নাই এর অ্যাটাকিং দিককে রুখতে কাজে লাগতে পারেন বেরতিন।
চেন্নাইয়ের কোচ মাতোরাজ্জি বলেন " আমরা আমাদের সেরাটাই দেব। আমাদের হাতে আছে শুধু ভাল খেলা। সেটাই করতে চাই। "
"স্কোরবোর্ডের ভিত্তিতে আমরা এখনও এগোতে পারি টাই চেষ্টা করব ভাল খেলার। " বলেন কোচ এবং ফুটবলার নিকোলাস অ্যাানেলকা।


Sunday 29 November 2015

রেইনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে গোয়া দলে ৫ গোলের ঝড়

 গোয়া- ৫
কেরালা-১
দুর্ধর্ষ টিম দেখল কোচির জওহরলাল স্টেডিয়াম। ম্যাচের শুরু দেখে কখনই মনে হয়নি এর ফলাফল ৫-১ হতে পারে পারে। এই জয়ের এবং হ্যাটট্রিকের পর গোয়া সেমিফাইনালের তৃতীয় স্থান দখল করে নিল। আজকের হারের পর এই মরসুমে কার্যত বিদায় নিতে হল কেরালাকে।  আজকের এই দিনটা নিশ্চয় ভুলতে চাইবেন টেরি ফেলানের দল। বিশেষত বাই ওয়াটার।
ম্যাচের প্রথম ১ মিনিটে কেরালার গোল আসে। তা প্রায় ধরে নিয়েছে সবাই। আজও সেই কাজটাই করেন পুলগা।  ১ মিনিটের কিছু পরে জার্মানের অসাধারণ পাস থেকে ম্যাচের প্রথম গোল করেন পুলগা। কেরালা এই মরসুমে এত গোল করেও এগোতে না পারার কারন সব থেকে বেশি গোলও খেয়েছে তারাই। দলের আক্রমন ভাগ ভাল হলেও রক্ষণ ভাগ বেশ নড়বরে। আর আজও সেটাই তাদের হারের কারন হয়ে উঠল।
অসাধারণ টিম গেম উপহার দিল জিকোর ছেলেরা। কেরালার করা প্রথম গোলের কিছু পরেই জোফরের গোলে সমতায় ফিরে আসে গোয়া। তবে এই গোলের সমান অংশীদারি রেইনাল্ডো। রেইনল্ডো যেভাবে বল নামিয়ে বল পাস করেন। জোফরেও তার কাজটি ভুল করেননি। একেরপর এক গোল আসতে থাকে গোয়ার। আজকের ম্যাচে হ্যাট্রিকও করেন রেইনাল্ডো। সব শেষে মান্দার রাও দেসাই এর গোলকে দলএর জয় আরও নিশ্চিত করে দেয়।  জিকো নিশ্চয় খুশি হবেন তার দলের পারফর্মেন্সে।
তবে আজ খেলায় বেশকিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটে। খেলার বিরতির মুহূর্তে জোফরে আর সুরিয়ায়সের ঝামেলায় লাল কার্ড দেখেন কেরালার এই ফুটবল। মৌরাও হলুদ কার্ড। ৪ টে হলুদ কার্ডের জন্য পরের ম্যাচে থাকতে পারবেন না মৌরা। হিরো অব দি ম্যাচ হন রেইনাল্ডো। দারুন পাস, হ্যাটট্রিক তাকে আজ এই সম্মান পেতে সাহায্য করে। ১২ ম্যাচে ৮ টি হিরো অব দি ম্যাচের পালক জুড়ল গোয়ার দলের ফুটবলারদের মাথায়। আজকের ম্যাচে বারবার চোখে পড়েছে কেরালার রক্ষন ভাগের দুর্বলতা। এই সুযোগ টাই কাজে লাগাল কলকাতা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তার সেমিফাইনালের প্রথম তিনে জায়গা করে নিল।




প্রথম চারে জায়গা দখল করতে গোয়ার লড়াই

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ৫০ তম ম্যাচে কোচির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি কেরালা ও গোয়া। গোয়া এই ম্যাচ জিতলে পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে। এখনও পর্যন্ত গোয়ার দখলে ১২ ম্যাচে ১৯। ফলে আজ ৩ পয়েন্ট পেলে তারা চলে যাবে দিল্লির আগে। অপরদিকে কেরালা এখনও ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। তাই শেষ পর্যন্ত দুই দলই চাইবে আজকের ম্যাচ থেকে জয় পেতে।
গোয়ার দলে আছে রেইনাল্ডো। যাকে ঘিরে ভরসা অনেক। এখনও পর্যন্ত ৪ টে গোল পেয়েছেন তিনি। থাকবেন মৌরা। দলের আরেক স্তম্ভ। ২ টো গোল করলেও অসাধারণ ৬ টি অ্যাাসিস্ট দেখেছি তার দিক থেকে। অবশ্যই নজর থাকবে লুসিও এর দিকে। আজ কোচ নিশ্চয় চাইবেন সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা করতে পাকা করতে।
কেরালার দিকে তাকালে নাম উঠবেই পিটার র‍্যামেজের। ১ টি গোল পেলেও ক্লিয়ারেন্স আছে ১৪০ টা। অবশ্যই দলের সবাই চাইবেন তিনি আজ জ্বলে উঠুক। এতদিনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন অ্যাান্তোনিয় জার্মান। ৫ টা গোল আছে এই মরসুমে। দেখার পালা আজ তার নামের পাশে কতগুলো গোল সংখ্যা বসে।


Saturday 28 November 2015

দিল্লি সেমিফাইনালের দ্বিতীয় স্থানে

দিল্লি-২
নর্থইস্ট -১  
গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে ২-১ কে নর্থ ইস্ট কে হারিয়ে দিল্লি উঠে এল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় স্থানে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই দিল্লি নিজেদের কাজটা করে ফেলল। আজ ম্যাচ ঘিরে দুই দলের দুটো উদ্দেশ্য ছিল। দিল্লির প্রয়োজন ৩ পয়েন্ট। নর্থ ইস্টের ৬ পয়েন্ট। সুতরাং দিল্লির প্ল্যান ছিল গোল না করলেও গোল খওয়া যাবে না।
৩৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যান রবিন সিং। তবে এই গোলের জন্য কিছুটা দায়ী প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক রেহেনেশ। রাহেনেশের একটু সিধান্তের ভুলেই দিল্লির গোলের শুরু। অসাধারণ ভাবে ম্যাচের প্রান বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ডবলাস।  পরিবরতে হিসেবে মাঠে নেমে দলকে জয় এর মুখ দেখান দস স্যান্তোস । মাঠে নেমেই বারবার ক্রস, যেভাবে গোলের জন্য ছুটছিলেন তাতে তার এই গোল প্রাপই ছিল।
নর্থইস্ট এর দিক থেকে অনেক বেশি আক্রমণ আসলেও দলের হয়ে একমাত্র গোল করেন সাত্তিয়াসেন। দিল্লির প্রথম গোলের কিছু পরেই তার এই গোল দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনে। তবে দলকে জেতাতে পারেনা। আজ নর্থইস্ট একটু বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছে।  তবে প্রশংসা করতে হয় সান্তোশের। ৪ জনকে অতিক্রম করে বাঁ পায়ে যে শক্তিশালী গোল করেন, তা অসাধারণ। রেহেনেশও আজ দুরন্ত পারফর্ম করেছেন। কিন্তু ফুটবলে ভাগ্য বলে একটা কথা থাকে। আর সেটাই ছিল না ফারিয়াসের।
আজ ম্যাচ জুড়ে ছিল উত্তেজনা। হলুদ কার্ডও দেখতে হয় অনেক। চিকাও, ভিনিসিয়াস, গাদজে, রবিন সিং, স্যান্তোস। হিরো অব দি ম্যাচও হন দোস স্যান্তোস। ১২ ম্যাচ খেলে দিল্লির দখলে ২১ পয়েন্ট। সেমিফাইনালের প্রথম  দল হিসাবে কাল জায়গা করে নেন কলকাতা। আর আজ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় স্থান নিল দিল্লি।   



প্রথম চারে থাকার লড়াই


গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে নর্থইস্ট ও দিল্লি। ১১ ম্যাচ খেলে দিল্লি নিজেদের দখলে করেছে ১৮ পয়েন্ট। তালিকার ঠিক পরেই ১২ ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট। আজকের ম্যাচটা দুটো দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লীগ তালিকা যেভাবে পট পরিবর্তন করছে তাতে প্রত্যেকটি ম্যাচ জেতাই দরকার। যখন কলকাতা সেমিফাইনালে নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছে তখন সব দলই চাইবে তারা ভাল ফল করতে।
চোখ থাকবে মালৌদার উপর। কি ভাবে নিজের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেটা দেখার পাল। থাকবেন চিকাও। চিকাও এমন একজন ফুটবলার যার পা থেকেই বেশির ভাগ আক্রমন তৈরি হয়। চিকাও এর নাম নিলে যার নাম সঙ্গে সঙ্গেই আসা উচিত তিনি হলেন রিসে। দিল্লির এমন একজন ডিফেন্ডার যার উপর ভরসা রাখাই জয়।
নর্থইস্টের পাল্লাও আজ বেশ ভারি। আছেন সিমাও। যার দখলে ৩ টি গোল। অবশ্যই থাকবেন মেন্ডি। ১টাই গোল পেলেও ভরসা রাখার মত ফুটবলার। অসাধারণ অ্যাাসিস্ট আছে।
ফেরিয়াস জানান " এই মুহূর্তে খেলা যেদিকে গড়িয়েছে তাতে প্রত্যেকটি ম্যাচই ফাইনাল। টাই এখন আমরা আজকের খেলা নিয়েই ভাবতেই চাই। "
কার্লোস বলেন " প্রত্যেকটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ জিততেই হবে। আজ ভাল হবেই। ভরসা আছে দলের উপর।



Friday 27 November 2015

হিউমএর দ্যুতিতে জ্বলে উঠল কলকাতা

 কলকাতা- ৪
পুনে-১
সারা স্টেডিয়াম তখন দাড়িয়ে সুর মেলাচ্ছে জাতীয় সঙ্গীতের । মাঠের মধ্যে দুই দলের ফুটবলাররা। কলকাতার মাঠে দর্শকদের মধ্যেও তখনই একটাই কথা জয় কলকাতারই হবে। ভালবাসা, আবেগ ঘেরা এই ফুটবলের থেকে পাওয়া গতিটাকে কাজে লাগাতেই হবে। সেই প্রার্থনা বোধ হয় শুনতে পেয়েছিলেন ভগবানও। ৪-১এ পুনে কে হারিয়ে সেমিফাইনালের প্রথম দল হিসেবে জায়গা করে নিল কলকাতা।
খেলার প্রথম থেকেই কলকাতা জয়ের নেশায় ডুব দিয়েছিল। খেলায় ছিল এতটাই ধার। ৮ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল হিউমের। এই দিন হ্যাট্রিক করলেন হিউম। অসাধারণ টিম গেম ছিল এই ম্যাচে। এই ম্যাচের পর নিশ্চয় উঠে আসবে দ্যুতি আর হিউমের জুটির কথা। অবশ্যই থাকবে আরাতার উইং এ নিজের দক্ষতার কথা। গ্যাভিলনের দারুন পাস। কোচ যে তার দলকে ভাল করে জানেন তা আবারও প্রমানিত। পস্তিগা যে মাঠে নেই। কোন ভাবেই তার অনুপস্থিতের প্রভাব নেই হাবাসের দলে। লেকিচ মাঠে নেমে নিজের গোলটাও তুলে নিলেন। কে কত চেষ্টা করল সেটা হয়ত মাথী আর দেখা হয়না। একটাই লক্ষ্য গোল। যখন কলকাতার অনেকে ধরে নিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নরা আর বোধ হয় এগোতে পারবে না। সবাই ভুল প্রমান করে তালিকার ৬ নম্বর থেকে সেমিফাইনালের প্রথম দল।
পুনের কোচ বোধহয় ভেবেছিলেন রক্ষণাত্মক খেললে পয়েন্ট আসবে। এই প্ল্যান ই কলকাতাকে এগিয়ে দেয়। দলের ৪ রক্ষন ভাগের ফুটবলাররা উঠে আসছিলেন মাঝ মাঠে। ওভার হেডের বল গুলো কাজে লাগাল কলকাতা। তবে মুতু কাল চেষ্টার শেষ রাখহেন নি। ৩ টে শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এই শট গুলো যদি থিকানা বদলাত তাহলে কলকাতার জন্য কিছুটা খারাপ হতেই পারত। তবে অবশেষে মুতু গোল পান। কিন্তু দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।
ফুটবল এটাই। শুধু ফুটবল কেন জীবনও। কাল কি হবে কেউ জানেনা। সমালোচনার মধ্যেও দেখিয়ে দিল কলকাতা। বিশ্বাস, একাগ্রতা, ভালবাসা, নিষ্ঠা পারে সব কিছু বদলে দিতে। তাই কলকাতাও জ্বলে উঠল  সঙ্গে হিউমও।  




Hume's 2nd Hat trick helped Atk to reach semis





The run of champions or the run to be champion once again! I don’t know in which angle the marvelous rhythm of Atletico de Kolkata should be analyzed. I think both the point of views are equally justified. Furious form of Ian Hume was setting every opponent on fire to proclaim a victory like true champions and striding right foot forward towards championship for the second time. A hilarious crowd of 48,721 was at the Salt Lake Stadium on Friday to witness thrilling 4-1 victory defending champions Atlético de over FC Pune City that sealed them a place in the semi-finals of the 2015 Hero Indian Super League. A splendid treble by Canadian forward Ian Hume and a late strike by Dejan Lekic helped the home side become the first team this season to reach the semis with 23 points from 13 matchs. Adrian Mutu scored the solitary goal for the visitors who now will have to win their next two matches to have a chance.Both teams stepped into this crucial tie with three points on their mind. A well-contested first half brought out the best of both the teams’ attacking squads. The breakthrough for the home side came in the ninth minute when Jaime Gavilan shot a long ball right ahead. Arata Izumi met the ball and passed it to Hume and the Canadian drove it home to put ATK ahead. ATK doubled the lead in the 48th when skipper Borja Fernandez adeptly tossed the ball right into the Pune box, and Hume, this time with an acrobatic strike, The Canadian striker went on to score his third in the 83rd minute, his second hat-trick this season. From a Sameehg Doutie assist, a speeding Hume found the back of the net and became the second player after Stiven Mendoza of Chennaiyin FC to score two hat-tricks this season. Despite 3-0 down Pune refused to give up and their efforts. In 86th minute Mutu, their marquee signing, scored. Lekic’s goal in added time of the second half sealed a thumping victory for ATK.

Thursday 26 November 2015

১ টি করে গোলও পারল না দলকে জেতাতে

 ফুটবল বোধহয় একেই বলে। যার পরতে পরতে বিস্ময়, চাহিদা, রোমাঞ্চ, আবেগ,খুশি, দুঃখ। সেই আবহেই নিজেদের মেলালেন মুম্বাই পাতিল স্টেডিয়ামের দর্শকরা। আজকের এই ম্যাচ থেকে দুই দলেরই দরকার ছিল ৩ পয়েন্ট। মুম্বাই এগিয়ে থেকেও ৮৭ মিনিটের মাথায় কেরালার গোল ভাসিয়ে দিল তাদের। ১-১ ড্র করে মুম্বাই এবং কেরালা কার্যত এই বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেমি ফাইনালের দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে হল। ম্যাচের প্রথম থেকেই মুম্বাই খেলা নিজেদের দখলে করে নেয়। ফলস্বরূপ অ্যাাগুইলেরার গোলে এগিয়ে যায় মুম্বাই। এরপরেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ আসে দলের। বলতেই হয় সুনীল ছেত্রির উদ্দেশে নর্ডের সেই অসাধারণ পাস এর কথা। যা কাজে লাগালে হয়ত মুম্বাই কিছুটা স্বস্তি পেত। সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাানেল্কার ছেলেদের কাছে চলে আসে আরও একটি সুযোগ। এখানেও কাজ লাগাতে বিফল হ্ন সুভাস সিং। অসাধারণ পারফর্ম করেও চোটের কারনে মাঠ ছাড়তে হয় সুব্রত পালকে। সেই জায়গায় আসেন দেবজিত মজুমদার। ভাল খেললেও হঠাৎ আসা প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। আজ এই ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্টের দরকার ছিল কেরালারও। কিন্তু খেলার শুরুতে সেই ভাবে দেখা যায়নি। মেহেতাব আজ রক্ষনে ভাল থাকলেও আক্রমন বাড়াতে হত তার দিক থেকে। তবে খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক দেখা যায় কেরালাকে। ১০ মিনিটের মধ্যে অন্তত পরপর ৪ টে আক্রমন আনেন তারা। এই চেষ্টার পর দলের একটা গোল অবশ্যই দরকার ছিল। ঠিক সেই সময় যখন হয়ত সবাই ধরে নিয়েছেন খেলা মুম্বাই পক্ষে চলেই গেছে। সেই সময় হঠাৎ জার্মানের গোলে দলের সমতা ফিরে পায় কেরালা। যদিও এই গোলে দলে যে খেলায় ফিরে আসতে পারল তা নয়। তবে বলতে হয় এই গোলে চোখে পরে প্রতিপক্ষের ম্যান মার্কিং অভাব। আজ কেরালার দলে বারবার চোখে পড়েছে দলগতের অভাব। আজ কেরালার সবকিছুই যেন মাঝ মাঠ ঘিরে ছিল। উইং কে খুব একটা ব্যবহার করা হয়নি। আর এটাই দলের পিছিয়ে থাকার কারন। এতকিছুর পরেও খেলা থেকে কার্যত বিদায় নিতে হল এই দুই দল কে। বহু চেষ্টা, আক্রমন, হলুদ কার্ড, ভাল খেলার সব উপাদান থাকলেও ম্যাচ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে নিত হল এই দুই দলকে। সেমি ফাইনালে এগোতে হলে শেষ তিনটে ম্যাচে মোট ৯ পয়েন্ট পেতেই হত। সেটা আর হল না। তবে ভাল খেলা, প্রতিযোগিতা কখনও শেষ হয়না।

ফিরে আসার লড়াই

মুম্বাই এর ঘরের মাঠে কিছুক্ষন পরেই শুরু দুরন্ত ম্যাচ। এই দুই দলেরই এই ম্যাচ থেকে চাই ৩ পয়েন্ট। ইন্ডিয়ান সুপার লিগেএ।সেমিফাইনালে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচ জিততেই হবে দুই দলকে। এখনও পর্যন্ত দুই দলই ১১ টি করে ম্যাচ খেলেছে। মুম্বাই এর দখলে ১২ পয়েন্ট। কেরালার দখলে ১১ পয়েন্ট।
মুম্বাই কোচ তথা ফুটবলার অ্যাানেলকা বলেন " এই মুহূর্তে আমাদের অবস্থান খুব একটা ভাল নয়। আমাদের ঘুরে দাড়াতেই হবে। ফিরে আসতে হলে সব ম্যাচ জিততে হবে। চাই সেই জয় কেরালার বিরুদ্ধেই শুরু হোক। আমরা যদি কেরালার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট পাই তবেই চেন্নাই কে নিয়ে ভাবতে পারব। একটা একটা করে এগোতে হবে"। আজ নজর থাকবে সনি নডেড় উপর। অবশ্যই আজ জ্বলে উঠতে হবে পেকেনিওকে। দলের রক্ষনভাগ কে এমন ভাবে সাজাতে হবে যাতে প্রতিপক্ষ কোন ভাবেই উঠতে না পারে।
কেরালার কোচ বলেন "আমাদের দুই দলেরই অবস্থা ভাল নয়। জিততে হবে দুজনকেই। ফলে সবাই সবার সেরাটার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। দলে আছেন চেরিস ডাগাণাল মত ফুটবলার। যাকে কাজে লাগাতে হবে বুদ্ধি দিয়ে।  থাকবেন সান্দেস ঝিঙ্গাল। দলকে  প্রতিপক্ষের রক্ষন আঘাত হানতে হবে।
আজকের ম্যাচ জিতলে দুই দল ই কিছুটা উপরে উঠতে পারবে। সঙ্গে পাবে আত্মবিশ্বাস। ফলে আজ দুই দলই চাইবে সেরা দিতে। এবার দেখার পালা কারা আজ ফিরে আসতে পারে এই লড়াই এ।


পিছিয়ে থেকেও ড্র গোয়ার

গোয়া- ১
নর্থইস্ট-১

 বুধবার সন্ধ্যে জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম দেখল টানটান উত্তেজনার ম্যাচ। ১ গোলে পিছিয়ে থেকে ৮০ মিনিটের মাথায় গোল করে ম্যাচ ড্র করে গোয়া। খেলার শুরুতেই সুযোগ চলে আসে গোয়ার কাছে। লিও মৌরা এবং ডুডু সেই সুযোগ কে কাজে লাগাতেই পারতেন কিন্তু অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছেন গোলকিপার রেহেনেশ। একই ঘটনাও ঘতে নর্থইস্টের সঙ্গে। যখন ফ্রান্সিস ডাডজি গোলের উদ্দেশে বল ছোড়েন তা প্রতিহত করেন কাট্টিমনি। সঞ্জু প্রধান অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সঞ্জু একের পর এক চেষ্টা করতে থাকেন কিন্তু গোয়া ছেলেদের সাজানো ডিফেন্স কে ভাঙতে পারেননা। ৬ গজ দূর থেকে কর্নারকে কাজে লাগিয়ে সিমাও এর থেকে আসে প্রথম গোল। যা নর্থ ইস্টের মনবল বাড়িয়ে তোলে। এরপর হঠাৎ ই গোয়ার খেলায় আসে পরিবর্তন। কোন রকম ভাবেই প্রতিপক্ষ কে জিততে দেওয়া যাবে না। খেলা কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায়। খেলা যখন ৮০ মিনিট গড়িয়েছে মৌরার পাস থেকে ম্যাচ সমতায় ফেরান রেইনাল্ডো। হিরো অব দি ম্যাচের সম্মান যায় লিও মৌরার কাছে। এই ম্যাচের শেষে গোয়ার দখলে ১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট। আর ১২ ম্যাচ খেলেই নর্থইস্ট সংগ্রহ করেছে ১৭ পয়েন্ট। গোয়া এই মুহূর্তে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। নর্থ ইস্ট রইল ৪এ।



Wednesday 25 November 2015

৭ এর সুনামির পর কি আরও বড় কিছুর অপেক্ষা

 আর কিছুক্ষন পরেই জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে গোয়া এবং নর্থইস্ট। এই মুহূর্তে গোয়া ১১ ম্যাচ খলে দখল করেছে ১৮ পয়েন্ট। উল্টোদিকে ১১ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে নর্থইস্ট। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ম্যাচ জিতলে গোয়া আবার গ্রুপ শীর্ষে। অন্য দিকে নর্থইস্ট জিতলে তারা উঠে আসবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
গোয়া কথা উঠলেই নাম আসবে লুসিও-র। অসাধারণ এক দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। বলতেই হয় তার ট্যাকেলের কথা। ইএ সিজিনে লুসিও কাছ থেকে ২৮ টি ট্যকেল দেখেছি। নিশ্চয় আজ তার জাদু আবারও দেখতে পাব। দলের অন্যতম ভরসা লিও মৌরা। এই বছর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ২টি গোল ৫টি অ্যাাসিস্ট আছে। গোয়ার দলে সব থেকে বেশি সময় মাঠে থাকার সুযোগ পেয়েছেন এই লিও মৌরা। বলতেই হয় নাইজেরিও ফুটবলার ডুডুর কথা। যার উপর একসময় হয়ত সব কোচের ভরসা উঠে গেছিল। আবার ফিরে এসেছেন স্বমহিমায়।
শুধু গোয়া নয় নর্থইস্টেরও আছে তারকা ফুটবলার। প্রথমেই আসব নিকলাস ভেলেয এর কথায়। এই ফুটবলারকে নর্থ ইস্টের সেরা ফুটবলার বললে খুব ভুল হবে না। যার উপর নজর থাকবে সকলের। মাঝ মাঠের ফুটবলার ব্রুনো আরিয়াস। যিনি সব সময় মাঝমাঠ কে সচল রাখেন। চোখ থাকবে আন্দ্রে বিকের উপর। যিনি দলের ভরসা।
মনে রাখতে হবে এই গোয়ার দল ই এতদিন তালিকার প্রথমে ছিল। ৭ গোলের ঝড় তুলেছিল। আবার বিপরীত দিকে একের পর এক লড়াই করে নর্থইস্ট এগিয়ে চলেছে নিজের লক্ষে।
গোয়ার কোচ জিকো বলেন "আমরা ৭-০ কে যেমন মনে রাখিনি তেমনই ৪-০ আমদের উপর প্রভাব ফেলবেনা। দলের উপর ভরসা আছে।" তেমনই নর্থ ইস্টের কোচ সেসার ফেরিয়াস বলেন " প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী। আমরা শুধু আমদের খেলা তেই মন দিতে চাই। এবার দেখার পালা নর্থইস্ট জয় নাকি গোয়ার জয়ে কলকাতা আবার দ্বিতীয় তে নেমে আসে। 


Goa and Northeast in search of win

 After claiming 7-0 over Mumbai City FC, it was 0-4 defeat against Atletico de Kolkata. Though FC Goa chief coach Zico feels his team will remain unaffected by the big loss in the last game. The loss did not alter their position on the ISL points table dramatically as they continue to occupy the second spot. Even though FC Goa had defeated NorthEast United 3-1 in the away clash, Zico is aware he cannot relax at this juncture assuming that they cannot afford to lose any more in the competition now, as it would put pressure on them to qualify. The FC Goa chief coach said he will have to look at the team in training to find out the availability of players with doubts over Gregory Arnolin, Luciano Sabroza and Rafael Coelho, all of whom are injured. NorthEast United, on other hand, have scripted a remarkable turnaround after starting the campaign losing the first three matches in a row but now find themselves in run to qualify for the semifinals. Coach Cesar Farias said he always believed in his team and knew they would come good at some stage of the league. NorthEast United have 16 points in their bag from 11 matches and are placed among the top four at the moment. A win will in search of NorthEast United.


Tuesday 24 November 2015

jeje,mendoza, pelissari thumped Delhi by 4 to earn a big win for Chennai

 We had an experience of another big win last night. Again its 4-0. Chennaiyin FC stunned Delhi Dynamos. The biggest defeat of Delhi. Chennai moved to the top four.
A brace from Jeje Lalpekhlua, Stiven Mendoza and Bruno Pelissari contributed one each.
Mendoza was excellent, scored one and assisted three. Chennaiyin FC were at the bottom of the ISL table very recently. But it was the indomitable form of Mendoza who found goals to earn two consecutive victories which taken them to the top four with 16 points from 12 matches.
Jeje cleverly chipped the ball forward for Mendoza which converted at ease.
Pelissari scored the second by curling it into the goal. Chennaiyin FC made it 3-0 with Jeje. Again it’s Jeje to make it 4.
The doors for Delhi were sealed early in the second session as Chennaiyin FC got their fourth goal of the match in the 54th minute. Raphael Augusto, who has been in incredible form for Chennaiyin FC, came up with a killer pass to find Thoi Singh. The midfielder then spotted Mendoza whose shot was cleared on the line by Delhi defender Anas Edathodika but Jeje was within handshaking distance to put the game beyond Delhi’s reach.

With such a big win, Chennaiyin FC were at the top gear to challenge other contenders.



চেন্নাই এর চার গোলে উড়ে গেল দিল্লির ডিফেন্স

চেন্নাই-৪
দিল্লি-০ 
চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে যখন খেলা শুরু হল তখন বোঝা যায়নি মাতরাজ্জির দল ওই ৯০ মিনিট ঝড় ওঠাবে। আর সেই ঝড়েই একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেল দিল্লির ডিফেন্স। চাপের মুখে পরে যে একটাই পথ থাকে তা হল ফিরে আসা তা বুঝিয়ে দিল চেন্নাইন এফ সি। জীবন মানেই টিকে থাকার তা আবার প্রমানিত। যখন কথা হচ্ছিল চেন্নাই হয়ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেনা ঠিক তখন সবাইকে ভুল প্রমান করে প্রথম চারে থাকার লড়াই শুরু করল। ৪-০ দিল্লিকে হারিয়ে মাঠে উপস্থিত ২৫ হাজার ৫৩১ জনকে দারুন উপহার দিল চেন্নাই।
ম্যাচের শুরু থেকেই দলএ জ্বলছিল জেতার বারুদ। যে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স নিয়ে বারবার কথা হয়েছে প্রশংসা করা হয়েছে। সেই দলকে এই ভাবে যে ৪-০ হারাতে পারে মাতরাজ্জির ছেলেরা তা বোধহয় অনেকেই ভাবেননি। ১৭ মিনিটের মাথায় করা মেন্ডোজার গোল বুঝিয়ে দিয়েছিল সব শেষ হয়ে যায়নি। বরং নতুন করে শুরু হল। এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই মেন্ডোজার নামের পাশে বসল নতুন মুকুট। ১১ ম্যাচে ১০ গোল।  ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই প্রথম কারও গোলসংখ্যা দুটি সংখ্যায় পৌঁছল। একের পর এক গোল আসতে থাকে ১৭, ২১ ৪০ ও ৫৪ মিনিটে। খেলার শেষ পর্যন্তও মনে হয়েছে আরও একটা গোল আসতেই পারে। ছিল পেলিসেরির গোল। তারপর দুটো গোলই জেজের পা থেকে। তবে জেজের গোলের পাশে নাম থাকবে মেন্ডোজার। পেলেসেরির সঙ্গে কিছুক্ষণ খেললেন দেখলেন পাস করলেন জেজেকে। আর জেজেও সেই ভরসাও রাখলেন। অসাধারণ গোল উপহার দিলেন দর্শকদের। বিশ্বমানের অ্যাসিস্ট থেকে আবার গোল।
দিল্লি আজ হারিয়ে গেল মাতরাজ্জির বুদ্ধির কাছে। যে দলের ডিফেন্স এত ভাল। সেই দল যে এই ভাবে হারবে তা ভাবা যায়নি। চেন্নাই এর গোল এর পিছনে বেশ কিছু ভুল করেছেন ডগলাস, আনাস। চেন্নাই এর প্রথম গোল এর ক্ষেত্রেও ডগলাস আর আনাসের ভুলের মাশুল দিতে হল দলকে। আজ এই ম্যাচে সামনে চলে এল দিল্লির ডিফেন্সের ফাঁক। ভাল দলও যে ভুল করতে পারে তা দেখা গেল। আর সেই ভুলকেই কাজে লাগিয়ে চার গোলের ঝড় উঠল চেন্নাই এর দলে।
এই ম্যাচে হিরো অব দি ম্যাচের সম্মান পান মেন্ডি। তবে এই সম্মানের দাবিদার হতেই পারতেন মেন্ডোজা পা জেজে। আজকের ম্যাচের পর চেন্নাইয়ের দখলে ১৬। দিল্লির কাছে ১৮। দিল্লি রইল ৩ এবং চেন্নাই রইল ৪এ। এই জয়ের পর চেন্নাইও ঢুকে পরল প্রথম চার এ। এই ম্যাচে যেমন খুশি চেন্নাই এর দর্শকরা। তেমনই নিশ্চয় খুশি কলকাতা। কারন চেন্নাইয়ের জয়ে দিল্লি উঠে আসতে পারল না তালিকার শীর্ষে। এখনও পর্যন্ত গ্রুপ তালিকার শীর্ষে রইল কলকাতা।




Success story of Atletico de kolkata on Ei Samay