Sunday 15 November 2015

এগিয়ে থেকেও ড্র করে খুশি থাকতে হল কলকাতাকে


 কলকাতা- ১
দিল্লি-১
হিউমের গোলেও জয় পেলনা কলকাতা। দিল্লির নেহেরু স্টেডিয়ামে শনিবার ছিল লীগ তালিকার তিন বনাম চারের লড়াই। শেষ চারএ থাকার প্রাণপণ প্রচেষ্টা। ফলে ম্যাচে যে উত্তেজনা থাকবে তা স্বাভাবিক। সেইরকম ভাবেই উত্তেজক উপাদান ভরপুর উপাদানে ছিল দিল্লি বনাম কলকাতার লড়াই। দুই দল গোল করেও ১-১ ড্র এ শেষ হল এই ম্যাচ।
 ২৭ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হিউম। প্রথমার্ধে কলকাতার খেলায় ছন্দ ছিল। গ্যাভিলন অসাধারণ। এই খেলায় গ্যাভিলন কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় সবকটা আক্রমণই এসেছে তার পা থেকে। শনিবারের খেলায় ছিল গতি। আগের ম্যাচে আরাতা গোল পেলেও কাল অজানা কারণে হাবাস নামাননি তাকে। পস্তিগা নেই, আরাতাকেও কাল খেলানো হয়নি। হাবাস আরাতাকে না নামানোয় সমস্যায় পড়ে কলকাতা।
খেলার প্রথমার্ধে কলকাতার দখলেই ছিল ম্যাচ। কিন্তু বিরতির পর খেলা শুরু হতেই পাল্টে যায় সেই ম্যাচের গতি প্রকৃতি। কোচ কার্লোস নামান গাডজেকে। আর এটাই বোধহয় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পান গাডজে। তার আসার পর দলের গতি বাড়ে। আসলে গাডজে নেমে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
 শনিবার নেহেরু স্টেডিয়ামের উত্তেজনা ছিল উপভোগ করার মত। এমনকি ম্যাচ শেষের পরও সেই রেষ থেকে যায়। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ভালদোর সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথার কার্লোস। ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা। খেলার ফলাফল ১-১ হলেও গোলের সংখ্যা বাড়তেই পারত। গাডজের জোরালো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আরও একটা সুযোগ চলে আসে দিল্লির কাছে। লেনের শট গোলকিপার অমরিন্দরের মাথার উপর দিয়ে গোলে ঢোকার মুখেই বাচান তিরি।  মালুদা আর গাডজের যুগলবন্দী নাড়িয়ে দেয় কলকাতার রক্ষন ভাগকে। আনাস ও শৌভিক ছিল আনবদ্য।
  হিরো অব দি ম্যাচের সম্মান পান রবিন সিং, তবে আনাসও ছিল ম্যাচের সেরার দাবিদার। ড্র হওয়ায় এখনও লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছে কলকাতা। দিল্লি তৃতীয় আর কলকাতা রইল লীগ তালিকার চতুর্থ স্থানে। অ্যাওয়ে ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে খুশি এটিকে। তবে শেষ চারের লক্ষ্যে ঘরের মাঠের চার ম্যাচ থেকে পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাতে হবে কলকাতাকে।




No comments:

Post a Comment