Friday 13 November 2015

মুম্বাই-পুনের ড্র এ পুনে রইল তালিকার দ্বিতীয় স্থানে

মুম্বাই-০
পুনে-০
দুরন্ত লড়াই করেও ১ পয়েন্ট করেই খুশি থাকতে হলে  মুম্বাই আর পুনেকে। তবে ডেভিড প্লাট বোধহয় এতেই সন্তুষ্ট থাকবেন। কারন পুনের কাছে দরকার ছিল কমপক্ষে ১ পয়েন্ট হাসিল করা। দল ড্র করলেই তারা আজ তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থাকত। ফলে কোন মতেই তিন পয়েন্ট নিতে দেওয়া যাবে না প্রতিপক্ষকে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিল আক্রমন, প্রতিআক্রমণ। মুম্বাই নিজের ঘরের মাঠে নিশ্চয়ই খুশি করতে চেয়েছিল দর্শকদের।
ম্যাচের প্রথমার্ধে খেলা ছিল মুম্বাইয়ের দখলে। আসাধারন মাঝমাঠের কাজ। একেবারে জমাট রক্ষণভাগ। কোনমতেই পুনেকে উঠতেই দেয়নি। দুরন্ত কিছু সেভ আসে সুব্রত পালের থেকে। খেলা এগোতেই ম্যাচের পট পরিবর্তন। ম্যাচের আধিপত্য চলে যায় পুনের দখলে। পেকিয়রের দিক থেকে কয়েকটা সুযোগ আসলেও তা সফল হয়নি। দলের কোচ তথা ফুটবলার আনেলকা মাঠে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গোল আসেনি। সুভাষের কাছ থেকে হঠাৎ গোলের সুযোগ আসলেও অরিন্দম তা আটকায়। অরিন্দম প্রথমে ভুল করলেও সামলে নিয়েছেন।  
প্রথম দিকে পুনের রক্ষন ভাগ খুব ভাল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যখনই সুযোগ এসেছে পুনে উঠেছে আক্রমণে। মুতু, বিকাস জাইরুর কম্বিনেশন খুব ভাল। অরিন্দম ভট্টাচার্য অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে আজ। এই সিজিনের প্রথমবার মাঠে নামা অরিন্দমের। প্রথমে কিছুটা নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার পরেই নিজের ফর্মে আসে সে। বেশ কয়েকটা নিশ্চিত  গোল সেভ করে অরিন্দম। তার বলতেই হয় একটার কথা। কাট্টিমনি যে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে শট নেয় চেস্ট ট্র্যাপ করে যে ভাবে গোল বাঁচায় তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এমনকি এই টুর্নামেন্ট এর সেরা সেভ এর মধ্যে একটা হতেই পারে। ম্যাচের প্রথম থেকেই দারুন ভাবে নিজের প্রতিভা প্রমান করেছেন জোকরা। হিরো অব দি ম্যাচও সে। প্রতিবার শূন্যে  বল দখলের লড়াইয়ে বারবার তাকে দেখা গেছে।
আজকের পর পুনে রইল দুইএ আর মুম্বাই তালিকার ছয় নম্বরে। কাল কলকাতার ম্যাচের পর বোঝা যাবে তাদের অবস্থান। এরপর পরপর ৪টে ম্যাচ কলকাতার নিজের মাঠে। এখন লড়াই প্রথম ৪এর।





No comments:

Post a Comment