Sunday, 20 December 2015

ক্রিসমাসের কিছু আগেই গোয়ার সান্তাক্লজের উপহার পেল চেন্নাই


গোয়ার স্টেডিয়াম জুড়ে তখন হাত জোড় করে একটাই প্রার্থনা। কেউ কেউ আবার হাতে থাকা ঘড়ির দিকে বারবার তাকাচ্ছেন। কয়েক মিনিট পেরোতে পারলেই খেলা এগোবে আরও কিছু মুহূর্ত। তারইমধ্যে হঠাৎ করেই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেয়ে গেলেন তার এই মরসুমের শেষ গোল। এতদিনের অপেক্ষার শেষ হল দর্শকের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই মরসুমের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফ সি। মুক্ত দানা ছড়িয়ে থাকা কাপে চুমুক দিলেন মাতোরাজ্জির ছেলেরা।
খেলার প্রথম থেকে গোয়ায় চেষ্টা থাকলেও। আজ হয়ত জিকোর ভাগ্য খুব একটা ভাল ছিল না। চোট পেয়ে বাইরে যেতে হয় দলের অন্যতম ভরসা ডুডু। তবে অসাধারণ কিছু নিশ্চিত গোল সেভ করেন কাট্টিমনি। তবে প্রনয়ের ভুলে পেনাল্টির সুযোগ আসে চেন্নাই এর হাতে। আর সেই সুযোগকে দারুন ভাবে কাজে লাগায় ব্রুনো পেলিসেরি। কাট্টিমনির হাতে বল সেভ হয়ে ফিরে আসে ব্রুনোর কাছে। আর সেই ফিরতি বলেই গোল করেন তিনি। এর পরেই যেভাবে ৩ জনকে কাটিয়ে রোমিও মাপা বল পাস করেন সিমবইকে তা এককথায় অসাধারণ। একেই বলে দলগত খেলা। এই ম্যাচ যে রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্য লেখা হল তা সুপারহিট। যখন ম্যাচ ১-১। তার কিছু পরেই জোফরের দারুন গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। এই গোলে দারুন ভাবে বুদ্ধির পরিচয় দেন জিকোর ছেলেরা। ফ্রি-কিক থেকে এই গোল বুঝিয়ে দিয়েছে প্র্যাকটিস ঠিক কতটা পরিমানে করেছে গোয়া। এরপরেই কাট্টিমনির ভুলের মাশুল দিতে হল নিজেদের। খেলা তখন অতিরিক্ত সময়ে এগিয়েছে। ফলাফল ২-২। ধরে নেওয়াই হয়েছিল খেলা এগোতে পারে আরও ১৫ মিনিট। ঠিক তখনই নিজের আরও একটা গোল বাড়িয়ে দল কে জয় এনে দিলেন মেন্ডোজা। অসাধারণ ফাইনাল উপহার পেল গোয়ার স্টেডিয়াম।
গোয়াতে ক্রিসমাসের উৎসব শুরু হয়েগেছে। আর সান্তাক্লজ কি তার শহরে আসা দলকে খালি হাতে ফেরত যেতে দিতে পারে। চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হওয়া চেন্নাই এর মাথায়। বুঝিয়ে দিলেন ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত যেমন কিছু বলা যায়না। তেমনই সেমিফাইনালে উঠবে কিনা সেই চিন্তা নিয়ে এগোনো দলও পারে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। বোঝা যায় এভাবেও ফিরে আসা যায়।




সেরার লড়াই


সুপার সানডে। ক্রিসমাসের কয়েকদিন আগেই সেজে উঠছে গোয়া। আরব সাগরের তীরে লড়াই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দ্বিতীয় মরসুমের চ্যাম্পিয়নের তকমা কাদের মাথায় উঠতে চলেছে। অপেক্ষা আর কিছু ঘণ্টার। দুবারের আইএসএল মিলিয়ে চারবার মিলিত হয়েছে চেন্নাই আর গোয়া। দুবার করে জিতেছে দুটো দলই।
গোয়ার দল প্রথম থেকেই তাদের সেরা পারফর্মেন্স দিয়েছে। চেন্নাই হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে এসেছে খেলায়। একদিকে যেমন রয়েছেন লিও মউরা ,ডুডু অন্যদিকে পরপর অসাধারণ ফর্ম নিয়ে এডেল বেটে। যদিও প্রতিপক্ষের ঘরকে বাঁচাতে রয়েছেন কাট্টিমনি। ১২ টি গোল নিয়ে সব থেকে বেশি গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন চেন্নাই এর মেন্ডোজা। আজ নিশ্চয় তার দিকে বাড়তি সতর্ক থাকবেন জিকোর ছেলেরা। দুই দল তাদের প্লাস পয়েন্ট গুলো নিয়েই মাঠে নামবেন।
নিজেদের ঘরের মাঠের একটা সুবিধা রয়েছে গোয়ার ছেলেদের। কোচ জিকো বলেন " আমরা জানি আমাদের প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী। তবে আমরাও নিজেদের সেরাটাই দেব। আজ দু দলের জন্যই ৫০-৫০ সুযোগ।
অপর দিকে চেন্নাই এর কোচ মাতোরাজ্জি বলেন " দারুন স্টেডিয়াম, দারুন দর্শক এর সামনে নিজেদের সেরাটা দেব। গোয়ার হাতে একটা সুবিধা থাকলেও এটা ফাইনাল। এর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা। জয়ের চেষ্টাই একমাত্র লক্ষ্য। 



Thursday, 17 December 2015

ব্যর্থতার পিছনে ১০ কারন


১। এই ম্যাচটায় হারের কোন গ্লানি নেই। কিন্তু এটিকের ফাইনালে না যাওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল দুটো ম্যাচ আগে থেকে। এটিকে যে ম্যাচ গুলো জিতেছে তাতে ডাউটি, হিউম, গাবিলান ও আরতা - এই চতুর্ভুজ কাজ করেছিল। মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে গুরুত্বহীন ম্যাচে পুরো টিম খেলানো উচিত হয়নি। ৭৪ দিনে ১৬ টা ম্যাচ- ক্লান্তিকর। ওই দিন যদি চার জনকে বস্রাম দিতেন হাবাস, টা হলে প্রথম সেমিফাইনালে বোরখার মাসলে চোট হত না। বোরখার অভাব বোঝা গেল।
২। ০-৩ থেকে শুরু করাতাই অনেক চাপের ছিল। সেই চাপটা হাবাসের দল নিতে পারেনি।
৩। প্রথম ১৫ মিনিট চেন্নাই খেলল। বাকি ৭৫ মিনিট কলকাতা। কিন্তু প্রথম দিকে গোল পাওয়ার লাভ তুলতে পারল না টিম হাবাস। দ্বিতীয়ার্ধে লেকিচের হাফভলি বারের উপর দিয়ে মারা ও তিরির হেড বেটের কোনও মতে সেভ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
৪। গত ম্যাচে যখন অমরিন্দর তিন গোল হজম করেছে , এদিন কি কালাতুয়েদকে নামানো যেত না?
৫। অমরিন্দর শেষ মুহূর্তে জঘন্য ভুলটা না করলে গোল হত না ফিকরুর। চেন্নাই তখন চাপে। কলকাতা কিন্তু ৩-০ করতেও পারত। ১-২ হওয়ার ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল।
৬। এডেল বেটে ও ফিকরু- এই দুই বাতিল কলকাতার বিরুদ্ধে জান কবুল করল। বিশেষ করে বেটে।
৭। রিনো আন্টো ও মোহনরাজের ক্রস গুলো ভালো হল না। ফলে লেকিচের উচ্চতা কাজে লাগানো গেল না।
৮। ২-১ হওয়ার পর হিউমের হেডটা পোস্টে লাগল। বোঝা গেল চ্যাম্পিয়ন্স লাক বলে যে কথাটা আছে, টা কলকাতাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।
৯। হাবাসে পরিবর্তন কাজে লাগল না। শেষে ১৫-২০ মিনিটে বালদো কিংবা মারটিনকে নামানো উচিত ছিল। ঠিক যেমন ফিকরুকে নামিয়ে মাতোরাজ্জি বাজিমাৎ করলেন।
১০। মোহনরাজ ও অমরিন্দরের শেষ মুহূর্তে ভুল বোঝাপড়া ক্ষমার অযোগ্য। অথচ অমরিন্দর কি চমৎকার খেলেছে লিগের ম্যাচ গুলোয়।
 

Wednesday, 16 December 2015

ফিকরুর সামারসল্টে আঘাত পেল কলকাতা


বুধবার রাতটা হঠাৎই কলকাতায় রবিবার সন্ধ্যের মত হয়ে উঠেছিল। স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শক। টিভির পর্দায় অসংখ্য চোখ। হাত জোড় করে ভগবানের কাছেই একটাই প্রার্থনা কমপক্ষে ৩ টে গোল। স্বপ্ন সত্যির দিকে কিছুটা এগিয়েছিল। কিন্তু কে জানত স্বপ্ন ভাঙবে এটিকের-ই গতবারের নায়কের গোলেই। অবশেষে এই ম্যাচে ২-১  জয় এনে দিল চেন্নাইকে। ৩ গোলে এগিয়ে থাকা মাতরাজ্জির দল আরও এক গোল করে ৪-২ এর রেখা টেনে দিল কলকাতার ঘরে।
কলকাতার দল বুধবারে যে ভাবে মাঠে নেমেছিল তাতে প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল আজ ভাগ্য হয়ত এদের সঙ্গেই। কিন্তু সময় যেতেই প্রতিপক্ষের গোলকিপার অবিশ্বাস্য ভাবে নিজেদের খেলায় ধরে রাখেন। হিউম, দ্যুতি, লেকিচ একের পর এক সুযোগ পেয়েও তাকে গোলে রূপান্তরিত করতে পারেনি। হাবাস ৩-৫-২ সাজিয়ে যে ছক তৈরি করেছিল তাতে মাতরাজ্জির ছেলেদের আটকানো গেলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি কলকাতা।
 ম্যাচের শুরুতে লেকিচের গোল কলকাতাকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন। অসাধারণ পারফর্মেন্স গোটা স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে রেখেছিল। খেলার শেষের দিকে হাবাসের গোল স্বপ্ন বাড়িয়ে তোলে। ড্র হলেও যে আরও একটা সুযোগ পাবে। কিন্তু এরপরেই মাতরাজ্জির শেষ কার্ড ফিকরু কে মাঠে নামালেন।  গত বারের চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সতীর্থ মাঠে নেমেই চেন্নাইকে জয় এনে দিলেন। তবে এই গোলের ক্ষেত্রে কলকাতার গোলরক্ষক  এর ভুলের মাশুল দিতে হল তার দলকে।
চেন্নাইকে কোন রকম ভাবে গোল করার জায়গায় পৌছতে দিচ্ছিলেন না। হিউম, গ্যাভিলনরা। মেন্ডি, মেন্ডোজা, জেজে, এলানো ব্লুমার কে কিছুতেই উপরে উঠতে দেয়নি কলকাতা। কিন্তু শেষে মিরাকেল হওয়ার সপ্নকে ভেঙেই দিলেন ফিকরু।
অসাধারণ খেলেও সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল কলকাতাকে। গোয়ার সঙ্গে এবার ফাইনালে লড়াই চেন্নাই এর। কালকের ফলাফল এ নিশ্চয় খুশি নয় কলকাতার দর্শক কিন্তু যে খেলা হয়েছে এই ম্যাচে টা দারুন ভাবে উপভোগ করবে সকলে।



ফাইনালের ছাড়পত্র গোয়ার হাতে

গোয়া- ৩
দিল্লি-০ 
হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ফাইনালিস্ট এফ সি গোয়া। মঙ্গলবার রাতে দিল্লিকে ৩-০ এ হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল গোয়া। ১ গোলে এগিয়ে থাকা দিল্লিকে এই ম্যাচে ডুডু, জোফরে,  কোয়েলহোর করা গোল পিছিয়ে দিল।
এই ম্যাচে প্রথম থেকেই গোয়া নেমেছিল ফাইনালের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য।  ম্যাচের শুরুর দিকেই রোমিও ফার্নান্ডেজের অসাধারণ ক্রস আসে। বোঝাই গিয়েছিল ম্যাচ কোন দিকে এগোচ্ছে। প্রথম ১০ মিনিট গোয়ার দিক থেক একের পর এক চেষ্টা আসতে থাকে। ১১ মিনিটের মাথায় জোফরের করা গোলে প্রথম লেগের সঙ্গে সমতায় ফেরে গোয়া। এই ম্যাচ যে শেষ সুযোগ গোয়ার কাছে তা বোঝাই গিয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট ৫ টি পরিবর্তন করেন জিকো। সাবিথ এবং রেইনাল্ডো এর জায়গায় আনেন ডুডু এবং কোয়েলহোকে। আর তারাও সেই পরিবর্তন যে সঠিক ছিল তা প্রমান করে দেন গোলের মধ্যে দিয়ে। গোয়া দলগত পারফর্মেন্স এর জন্যই নিজেদের এই ভাবে প্রমান করল আবারও। মান্দার রাও দেশাই, রোমিও ফার্নান্ডেজ যেভাবে কাল একের পর সুযোগ এনে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে তা প্রশংসনীয়।
দিল্লি এই ম্যাচে তাদের সেরাটা কোন ভাবেই দিতে পারেনি। গোয়ার রক্ষন ভাগ বারবার আটকেছে প্রতিপক্ষকে। এরই মাঝে আদিল নবির কাছে আসে কিছু সুযোগ কিন্তু তাকে গোল রূপান্তরিত করতে পারেনি নবি। কয়েকবার গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি কার্লোসের ছেলেরা।
হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সেই মাহেন্দ্রক্ষন আর বেশি দূরে নয়। প্রথম ফাইনালিস্ট গোয়া। এবার দেখার পালা প্রতিপক্ষ কে! গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাকি এবার লড়াই এ নতুন করে ফিরে আসা চেন্নাই।



Tuesday, 15 December 2015

ফাইনালের টিকিট পেতে গোয়ার চাই জয় আর দিল্লির ড্র



মঙ্গল বারের সন্ধ্যেটা একেবারে জমে উঠতে চলেছে। জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে গোয়া এবং দিল্লি সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। শেষ বার যখন মুখোমুখি হয় এই দুই দল সেখানে রবিন সিং এর করা একমাত্র গোলে এগিয়ে থাকে দিল্লি। দিল্লির দল চাইবে তাদের এই ১ গোলে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিতে। রবিন সিং যেভাবে আগের দিন গোল করেন তাতে এই ভারতীয় এর উপর ভরসা নিশ্চয় থাকবে। মালুদার দিকে নজর অবশ্যই থাকবে। অসাধারণ ৮ টি অ্যাাসিস্ট আছে। গোয়ার লিও মৌরার বিপরীতে ভাল ভাবে কাজে লাগাতে হবে এই মালুদাকে। ডিফেন্সকে আরও শক্তিশালী করবে জন আরনে রিজে। এই ডিফেন্ডারকে নিজের সেরাটা দিতে হবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মনে রাখতে হবে কোনমতেই প্রতিপক্ষকে আক্রমণে উঠতে দেওয়া যাবেনা। মাথায় রাখতে হবে প্রতিপক্ষের গোলে ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলতে পারলে যেকোন দল একটু চিন্তিত হবেই সেই সুযোগই কাজে লাগাতে হয়। জিকোর ছেলেদের জ্বলে উঠতে দেরি। তাদের সেই যোগ্যতা আছে ম্যাচ নিজের দখলে করার। ভরসা রাখতে হবে লুসিও এর উপর। ব্রাজিলিয়ন এই ফুটবলার টেক্কা দিতে পারে দিল্লিকে। আছেন জোফরে। ইতিমধ্যে ২ টি গোল আছে তার। দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে লিও মৌরার। গোল করার পরের কিছু সময় খেলা নিজেদের মধ্যেই রাখতে হয়। কারন ১ গোলে পিছিয়ে পড়লে যে কোন দলই চাইবে সমতায় ফিরে আসতে। আর এই সময়টাই হয়ে ওঠে যেকোন দলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



Saturday, 12 December 2015

চেন্নাই এর গোলের বন্যায় ডুবল কলকাতা

চেন্নাই-৩
কলকাতা- ০
৩-০ জিতে সেমিফাইনালে প্রথম লেগে নিজেদের অনেকটাই এগিয়ে রাখল চেন্নাই। শনিবার বালেওয়াড়িতে চেন্নাই জ্বলে উঠেছিল। তারা যখন খেলার জন্য মাঠে নামেন তখন তাদের জার্সির গায়ে দেখা যাচ্ছিল " প্লে ফর চেন্নাই"। এই বার্তাই তাদের নতুন ভাবে চেনালো। একটা সময় এই দলই সেমিফাইনালে টিকে থাকার জন্য লড়ছিল। আর সেখান থেকেই পরপর ৫ ম্যাচ জিতে নিল মাতরাজ্জির ছেলেরা। যা আর কোন দল করতে পারেনি। বুদ্ধি আর দলগত পারফর্মেন্স কলকাতার রক্ষনভাগকে একেবারে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। যার ফল ৩৮, ৫৭, ৬৮ মিনিট।
 চেন্নাইন এফ সি যখন চেন্নাই এর জন্য খেলতে নামছে বোঝাই গিয়েছিল বাড়তি একটা তাগিদ তাদের সঙ্গে থাকবে। আর সেটাই হল। খেলার প্রথম ধাপে বিশ্বমানের পেলিসরির করা গোল চেন্নাইকে এগিয়ে দেয়। তারপর বুদ্ধি কাজে লাগায় মাতরাজ্জির ছেলেরা। তারা জানতেন হাবাসের দলকে আটকাতে গেলে কিছু প্ল্যান ভাবতেই হবে। চেন্নাই জানত কলকাতা গোলের জন্য আক্রমণে আসবেই। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাল  মেন্ডোজা ও জেজে। কলকাতার আক্রমনে যাওয়ার সময় মাঝমাঠ যে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল করেনি। ফলস্বরূপ ৩-০ জয় চেন্নাই এর।
কলকাতার কাছে যদিও আর একটা সুযোগ আছে।  তাই হাবাস নিশ্চয় চাইবে দলের ভুল ত্রুটি গুলো শুধরে নিতে। শনিবার হিউম আর দ্যুতিকে কোনমতেই ওপরে উঠতে দেয়নি। একেবারে নজর বন্দি করে রেখেছিল। উইং কিছুটা দুর্বল হয়ে পরেছিল।  পেলেসেরির গোলের সময় হিউম এর থাকার প্রয়োজন ছিল। বড় কথা কলকাতার ব্যাক ফোরের সামনে যে ভাবে ওয়ান টু ওয়ান খেলল চেন্নাই তা আটকানোর দরকার ছিল। আর এই গুলোই হয়ে উঠল বিপক্ষের হাতিয়ার।
তবে ফুটবলে সব হয়। পরের ম্যাচে হাবাসের দল কে কমপক্ষে ৪ টে গোল করতেই হবে। যা তারা করতেই পারে।  দেখার পালা আগের বারের চ্যাম্পিয়নরা তাদের তকমা ছিনিয়ে নিতে পারে কিনা।




Friday, 11 December 2015

রবিনের করা গোলে এগিয়ে থাকল দিল্লি

  দিল্লি-১
গোয়া- ০
সেমিফাইনালের প্রথম ধাপটা পেরিয়ে গেল দিল্লি। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে রবিন সিং করা গোলে ১-০ গোয়াকে হারিয়ে জয় দিল্লির। ৪-৪-১-১ ফর্মেসানে সাজিয়ে ছিলেন কার্লোস। এই ভাবে দল সাজিয়ে ৩ পয়েন্ট আনতে চেয়েছিলেন কোচ। আর সেটাই হল।
প্রথম থেকেই দিল্লি খেলাকে নিজেদের আধিপত্তে আনতে চেয়েছিল। ৪ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ আসে সান্তোসের পায়ে। নারায়ন দাসের অসাধারণ ক্লিয়ারেন্স খেলাকে আরও উজ্জিবিত করে। দস সান্তোস এই ম্যাচে গোয়ার  ডিফেন্সে বারবার আঘাত হেনেছে। কিন্তু গোয়াও একটু জায়গা ছাড়তে নারাজ ছিল। কিন্তু হঠাৎই রক্ষনের বেড়া জাল টপকে ৪২ মিনিটের মাথায় আসে ভারতীয় ফুটবলার রবিন সিং এর  একমাত্র গোল। তিনি যে ভাবে বিশ্বমানের স্টপার লুসিওর মাথা টপকে হেডটি করেন তা মনে রাখার মত।
এই ম্যাচে গোয়ার ডিফেন্স আর মাঝমাঠের বেশ কিছু সমস্যা নিশ্চয় ছিল। আর তা বারবার চোখেও পড়েছে। এই সময় এসে দলের ডিফেন্স আর মাঝমাঠ যদি নড়বরে হয়ে পরে তাহলে তা দলের জন্য ভাল কথা নয়। হাতে যদিও আরও একটা ম্যাচ আছে। কিন্তু দলে চোট আঘাত থাবা বসিয়েছে।  রেইনালদো ও রাজু গায়কোয়ারের চোট। জিকো নিশ্চয় চিন্তায় থাকবেন। দিল্লির সঙ্গে এই ম্যাচে গোয়ার আক্রমণও যে খুব ছিল তা নয়। ৭৪ মিনিটের মাথায় একটা টার্গেট লক্ষ্য করা গেছিল যদিও তা গোলে রুপান্তরিত হয়নি। কোচ নিশ্চয় পরের ম্যাচ নিয়ে নতুন কিছু ভাববেন।
গোয়ার হাতে আরও একটা সুযোগ আছে। কোচ জিকো বলেন " আমি মনে করিনা এটা হার। কেননা খেলা ১৮০ মিনিটের। ৯০ মিনিট এখনও আমদের হাতে। আশা করি পরের ম্যাচে এই এক গোলের ফারাক আমরা মেটাতে পারব"।  তবে সেমিফাইনালের এই স্তেজে এসে এক গোলের ফারাকও অনেকটা এগিয়ে রাখে দলকে। এবার দেখার পালা পরের ম্যাচে দিল্লি এগিয়ে যেতে পারে নাকি লীগ শীর্ষে থাকা গোয়া পিছিয়ে থেকেও সামনে চলে যাবে।




Monday, 7 December 2015

৩ পয়েন্ট জিতে লীগ তালিকার প্রথমেই গোয়া

গোয়া- ৩
দিল্লি-২
দুরন্ত ম্যাচ খেলে ৩-২ এ হারিয়ে লীগ তালিকার প্রথমে জায়গা করে নিল গোয়া। ১৪ ম্যাচে গোয়ার কাছে ২৫ পয়েন্ট। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে অসাধারণ ম্যাচ উপহার দিল গোয়া এবং দিল্লি। কালকের ম্যাচ বুঝিয়ে দিল সেমিফাইনালে কি রকম রুদ্ধশ্বাস খেলা হতে চলেছে।
 খেলার প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়েছিল দিল্লি। দিল্লির হয়ে গোল করেন সেজিনহো গ্রিন এবং আদিল নবির গোলে দল অনেক এগিয়ে যায়। এই জন্যই বলা হয় ম্যাচের ষে বাঁশি না বাজা পর্যন্ত ফুটবলে খেলা শেষ হয়না।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় গোয়ার। খেলার প্রথম দিকে গোয়ার দলকে একটু ক্যাজুয়াল লাগছিল। কয়েকটা আক্রমন আসলেও তা যে খুব জোরালো ছিল তা নয়। খেলার ফিরে আসার তাগিদ লক্ষ্য করা গেল ৪৫ মিনিটের পর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৬৮ ও ৬৯ মিনিটে গোল করেন রোমিও। এই গোলেই সমতা ফেরে জিকোর ছেলেরা। জোফ্রের করা গোলে ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় গোয়া।
এই ম্যাচের শেষে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা নেমে এল দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে চেন্নাই। এবার সেমিফাইনালের যুদ্ধ। শনিবার কলকাতার মুখোমুখি হবে চেন্নাই। খেলা হওয়ার কথা চেন্নাইতে। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ম্যাচের স্থান পরিবর্তন হতে পারে। এবার দেখার  পালা চ্যাম্পিয়নের তকমা কোন দলের মাথায় ওঠে।




Saturday, 5 December 2015

চেন্নাই এর প্রতিবন্ধকাতার মধ্যেই নতুন জয় তাদের

পুনে-০
চেন্নাই-১
পুনের ঘরের মাঠে চেন্নাই এর এই জয় তাদের নিয়ে গেল সেমিফাইনালে। ০-১ এ জিতে চেন্নাই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় স্থানে। সেমিফাইনাল যে চার দলের মধ্যে হবে তারা হল কলকাতা, চেন্নাই, গোয়া, দিল্লি। একটা সময় চেন্নাই এর খেলা এবং পয়েন্টের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল মাতরাজ্জির ছেলেরা এবার হয়ত সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পাবে না। কিন্তু ফুটবলারদের তাগিদ, দারুন খেলায় কামব্যাক করে তারা। আজকের এই ম্যাচের পর তালিকার ৭ নম্বরে খেলা শেষ করতে হল পুনেকে।
মুতু প্রত্যেক ম্যাচে শেষে গোল পান। এই কথাটা সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল অনেকেই। সেইরকম ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পুনের সমর্থকেরা আশায় ছিলেন। কিন্তু আজ দারুন পারফর্মেন্সের পরও গোল পেলেন না আদ্রিয়ান মুতু। তবে ভারতীয় ফুটবলে তার ন্নাম অনেকদিন মনে রাখবেন দর্শকেরা। এই সময় টা মুতুর হয়ত সেরা সময় নয়। সেই কারনেই তার ঝলক সব সময় দেখা যায়নি। তবে যতবার মাঠে নেমেছেন তার উপস্থিতি বারবার সবার নজর কেড়েছে। নিকি শোরেও  একজন দারুন ফুটবলার। আজ হয়ত ডেভিড প্লাটের ছেলেরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি।
ম্যাচের প্রথম থেকেই একটু রক্ষণাত্মক খেলেছে চেন্নাই। আজ চেন্নাই এর প্ল্যান ছিল কোনমতেই প্রতিপক্ষকে গোল করতে দেওয়া যাবেনা। মেন্ডোজা বারবার এগিয়েছেন গোলের জন্য। ম্যাচের শেষের দিকে যেভাবে গতি বাড়িয়ে গোলের জন্য গেলেন টা অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। আজ খাবরা,  পোতেনজা, রক্ষণে দারুন ভূমিকা পালন করেছেন। থই সিং কে বারবার আক্রমণে দেখা গেছে। নিশ্চয় এটা চেন্নাই এর জন্য ভাল দিক। তবে এই ম্যাচে একা দক্ষতায় যেভাবে জেজে গোল করেন টা অসাধারণ। বল প্রথম শটে ফিরে আসার পর খেয়াল রেখে যে ভাবে গোল করলেন তা ভারতীয় ফুটবলারদের জন্য ভাল খবর। এই আই এস এল এ ভারতীয় ফুটবলাররা জ্বলে উঠেছে বারবার। এই গোলের পর জেজে ৫ নম্বর গোল পেলেন।
এই ম্যাচের পর ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাই কলকাতার ঠিক পরেই। আজ হলুদ কার্ড দেখেন কয়েকজন ইগুয়েন, রাভানান, এলানো, ওয়াডু। কিন্তু চেন্নাই এর জন্য খারাপ খবর হলুদ কার্ডের জন্য পরের ম্যাচ খেলতে পারবে না এলানো এবং ওয়াডু। সেমিফাইনালে কোন দল কোন দলের সঙ্গে খেলবে তারজন্য অপেক্ষা আর একটা দিন।



Friday, 4 December 2015

আজকের জয় চেন্নাইকে নিয়ে যাবে সেমিফাইনালে


পুনের ঘরের মাঠে আজ ঠিক হবে কে হতে চলেছে সেমিফাইনালের দল। এখনও পর্যন্ত চেন্নাই এর কাছে ১৩ ম্যাচে আছে ১৯ পয়েন্ট। পুনের কাছে ১৩ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট। চেন্নাইকে সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে। ১৪ ম্যাচ খেলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে নর্থইস্ট।
এতদিনে প্রত্যেকটি দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হয়েন সকলেই। পুনে সিটির নাম উঠলে যার নাম সবার আগে মনে আসে তিনি হলেন আদ্রিয়ান মুতু। ৪ টি গোল আছে তার দখলে। চেন্নাই এর ডিফেন্সে আক্রমন আনতেই পারেন এই মুতু। আছেন রজার জনসন। এই মরসুমে ২১ টি ট্যাকেল করেছেন তিনি।
একটা সময় লীগ তালিকার নিচের দিকে নামছিল এই চেন্নাই এর দল। দলের অসাধারণ কিছু ফুটবলারের সাফল্য দলকে নতুন ভাবে উজ্জিবিত করে। প্রত্যেক ম্যাচের আগে যাদের কথা বলতেই হয় তারা হলেন মেন্ডি, ব্রুনো পেলেসেরি। দারুন কিছু শট দেখা যায় তার দিক থেকে। অবশ্যই বলতে হয় মেন্ডোজার কথা। ১১ টি গোল আছে তার পায়ে। এইরকম ফুটবলার দলে চাইবেন প্রত্যেক কোচ।
চেন্নাই এর কোচ মাতরাজ্জি বলেন " একটা সময় ছিল যখন আমরা প্রথম দল হতে পারতাম যারা এই মরসুম থেকে বিদায় নিচ্ছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দলের যোগ্যতা আছে। আজ সেরাটাই দেব।"
অপরদিকে পুনের কোচ প্লাট বলেন "আজকে নিজেদের সেরাটা দিয়েই শেষ করতে চাই। এই সেরা যেমন দলের ফুটবলারদের জন্য তেমনই সমর্থকদের জন্য।"


মুম্বাই এর শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠল তারা

কলকাতা - ২
মুম্বাই-৩
চেন্নাই এর প্রকৃতি হার মানিয়ে নতুন এক মুম্বাই ফিরে এল কলকাতা স্টেডিয়ামে। গতি, খিদে, জোশ সবকিছুর কাছে পরাস্ত হতেই হল কলকাতাকে। ২-৩ এ জিতে কলকাতার ঘরের মাঠের দর্শকদের কষ্ট দিল হয়ত। কিন্তু নিখাদ ফুটবল উপহার দিল মুম্বাই। তবে কলকাতাও আজ এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ ছিল। গোল পরিশোধও করতে থাকে তারা। কিন্তু খেলার শেষে সনির পা থেকে সেই অসাধারণ গোল দলকে ৩ পয়েন্ট এনে দেয়।
খেলার প্রথম থেকেই কলকাতার আক্রমন ছিল। প্রথমেই দুটি গোলএর সুযোগ হারান হিউম ও দ্যুতি। এরপর বেশ কিছু সুযোগ আসে কলকাতার। ৪৫ মিনিটের কলকাতার হয়ে প্রথম গোল করেন হিউম। ৯০ মিনিটে গোল পান আরাতা। দুর্দান্ত ম্যাচ দেখল কলকাতা স্টেডিয়াম। গ্যাভিলন গোল না পেলেও অসাধারণ খেলেছেন তিনি। তিনি যে কত ভাল ফুটবলার তা বুঝিয়েছেন পরতে পরতে।
মুম্বাই এর হারাবার কিছু ছিল না। টাই প্রথম থেকেই চাপহীন খেলেছেন অ্যাানেলকার ছেলেরা। চেন্নাই এর ওই দুর্যোগকে কাটিয়ে আজই সকালে ফেরেন কলকাতায়। এরপরেও কোনরকম ক্লান্তি ছিল না দলে। বরং বলাই যায় বিশ্রাম পাওয়া পা গুলো অসাধারণ ফুটবল খেলল। খেলার শুরুতেই গোল করেন সানি নর্ডে। এই গোল এ যে গতি ছিল তা কারোর পক্ষেই আটকানো সম্ভব নয়। তবে কলকাতার রক্ষন ভাগ এর জন্য নিজেদের কিছুটা দোষ দেবে নিশ্চয়। অফ সাইডের আশায় যখন গোটা রক্ষন ভাগ দাড়িয়ে যায় সেই সুযোগই নেই সনি। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সুনীল ছেত্রি। এই গোল মুম্বাই এগোলেও সমতায় ফেরান কলকাতা। খেলা যখন প্রায় শেষ ঠিক তখনই সনি নর্ডের গোল দলকে জয়ের মুখ দেখায়। হয়ত মুম্বাই নতুন করে কিছু পাবে এই জয়ে। কিন্তু ভাল ফুটবল দর্শকদের মনে অনেক দিন থকে। সেই সব ম্যাচ থেকেই তৈরি হয় দর্শকদের তারকা। সেইরকম এক দিন উপহার পেল অ্যাানেলকারা।
সেলিম হয়ত হিরো অব দি ম্যাচের তকমা পান কিন্তু এই সম্মান আসতেই পারত সনি নর্ডের কাছে। এই ম্যাচের শেষে ১৪ ম্যাচ থেকে কলকাতা পেল ২৩ পয়েন্ট। মুম্বাই ১৪ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট।  তবে সব শেষে আজ ধন্যবাদ দিতে জয় এই ম্যাচের সংগঠক দের। যে ভাবে চেন্নাই থেকে মুম্বাই এর দলকে কলকাতায় নিয়ে এল তা অবশ্যই ভারতীয় ফুটবলের জন্য ভাল দিক।



কলকাতার শীর্ষে থাকার লড়াই

চেন্নাইয়ের প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে মুম্বাই শহরে। ফলে কলকাতার ঘরের মাঠে সামনাসামনি মুম্বাই ও কলকাতা। দুই দলই চাইবে আজকের ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট পেতে। এখনও পর্যন্ত কলকাতা ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে লীগ তালিকার শীর্ষে। মুম্বাই ১৩ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। লীগ তালিকার শেষে রয়েছে তারা। । কলকাতা চাইবে শীর্ষ স্থান বজায় রাখতে। অবশ্যই মুম্বাই চাইবে ভাল খেলে এই মরসুম শেষ করতে। অবশ্যই আসব হিউমের কথায়। ইতিমধ্যেই দুটি হ্যাটট্রিক আছে তার। দলের অন্যতম ভারসার জায়গা হিউম। নিশ্চয় আজ নতুন ইতিহাস গড়তে চাইবেন। আছেন সামেঘ দুতি। এই মরসুমে ৩ টি গোল আছে তার। গত ম্যাচে দারুন ভাবে তার উপস্থিতি বুঝিয়েছেন। থাকবেন অর্ণব মণ্ডল। কলকাতা যে ভাবে জ্বলে উঠেছে তাতে নতুন কিছু ইতিহাসের জন্য তাকিয়ে ফুটবল প্রেমিরা। মুম্বাই আজ তাদের খেলা ৩ পয়েন্ট নিয়েই শেষ করতে চাইবে। আছেন সুনীল ছেত্রি। ৬ টি গোল ১ টি অ্যাাসিস্ট আছে তার। সুনীল নিশ্চয় চাইবেন আজও তার গোল থাকুক। আছেন মোভস। ৩৯ টি ট্যাকেল আছে। আজ নিশ্চয় চাইবেন দল এক হয়ে এগিয়ে যেতে। দুই দলই আজ তাদের সেরাটা দিতে চাইবে। কলকাতা এখন লীগ তালিকার শীর্ষে। মুম্বাইও চাইবে নতুন ভাবে জ্বলে উঠতে।

Thursday, 3 December 2015

৩-৩ ড্র এ দিল্লি এখন লীগ তালিকার তৃতীয় স্থানে

দিল্লি-৩
কেরালা-৩
 দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ৩-৩ ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়েই খুশি থাকতে হল দিল্লি এবং কেরালাকে। প্রথমার্ধেই ৫ টি গোল আসে দিল্লির এই স্টেডিয়ামে। খেলার শুরুতেই সান্তোসের গোলের পর দিল্লি সমর্থক বোধহয় ভেবে নিয়েছিলেন আজ ৩ পয়েন্ট নিয়েই ফিরবেন তারা। কিন্তু কেরালার অসাধারণ এই ফুটবল সবাইকে অবাক করে দেয়।
খেলার শুরুতেই প্রথম গোল আসে ৭ মিনিটের মাথায়। দস সান্তোস গোল করে দলকে এগিয়ে দেয়। কেরালার এত গোল থাকার পরেও কেন তাদের পিছিয়ে থাকতে হল তা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। দলের রক্ষনভাগের ফাঁকফোকর চোখে পড়ছিল। খেলার প্রথম দিকে দিল্লি দখলে খেলা নিলেও হঠাৎ ই তাদের রক্ষন দাড়িয়ে যেতে থাকে। একের পর এক  গোল আসে প্রতিপক্ষের দিকে।  ৪০ মিনিটে আবার গোল আসে আদিল নবির দিক থেকে। এই গোল এর সময় বোঝা যায় ৩ পয়েন্টের জন্য কতটা মরিয়া কার্লোসের দল। খেলা যখন প্রায় অন্তিম লগ্নে, অনেকেই হয়ত ধরে নিয়েছিলেন জয় আসছে কেরালারই তখন বিশ্বমানের দুরপাল্লার শট আসে শেহেনাজের পা থেকে। এই গোলকে যদি এই মরসুমের অন্যতম সেরা গোল বলে বিবেচিত করা হয় নিশ্চয় কেউ অবেক হবেননা।
কেরালার আজ হারানোর কিছু ছিল না। চিন্তাবিহীন খেলাতেই নিজের সেরাটা দিল কেরালার দল। যে দলের রক্ষন ভাগ নিয়ে বারবার কথা উঠেছে, সেই দলই যে সমান ভাবে টক্কর দেবে তা বোঝা যায়নি। ৭ মিনিটে দিল্লির গোলের পরই খেলা সমতায় ফেরান ডগনাল।  এরপর আসে অসাধারণ আরেকটি গোল। বাঁ পায়ে ইনসুইং করে কোইম্ব্রার গোল মনে রাখার মত অবশ্যই। ৩৭ মিনিটের মাথায় জার্মানের গোল। এই গোল এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আলাদা প্রশংসাপ্রাপ্য জার্মানের। দারুন চেস্ট ট্র্যাপ করে হাফ টার্নে যে  ভাবে গোল করলেন তা দেখার মত।  কেরালার গোলরক্ষক সন্দিপ নন্দী আজ ভাল খেলেছেন। ৩ টি গোলে প্রতিহত হলেও আরও কিছু গোল আসতেই পারত। অসাধারণ কিছু সেভ করেন তিনি।
আজ হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে বেশ কিছু ফুটবলারকে। ঝিঙ্গাল, মেহেতাব, গ্রিন, আহমেদ, শেহেনাজও দেখেন হলুদ কার্ড। আজকের ম্যাচে হিরো অব দি ম্যাচ হন ক্রিস ডগনাল। এই ম্যাচে দারুন ভাবে জ্বলে উঠেছিলেন অনেকে।  ১৩ ম্যাচ খেলে দিল্লির কাছে ২২ পয়েন্ট। তালিকার ৩ নম্বরে তারা। কলকাতা এখনও তালিকার শীর্ষে। ১৪ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭ এ খেলা শেষ করল কেরালা।