গোয়ার স্টেডিয়াম জুড়ে তখন হাত জোড় করে একটাই প্রার্থনা। কেউ কেউ আবার হাতে থাকা ঘড়ির দিকে বারবার তাকাচ্ছেন। কয়েক মিনিট পেরোতে পারলেই খেলা এগোবে আরও কিছু মুহূর্ত। তারইমধ্যে হঠাৎ করেই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেয়ে গেলেন তার এই মরসুমের শেষ গোল। এতদিনের অপেক্ষার শেষ হল দর্শকের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই মরসুমের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফ সি। মুক্ত দানা ছড়িয়ে থাকা কাপে চুমুক দিলেন মাতোরাজ্জির ছেলেরা।
খেলার প্রথম থেকে গোয়ায় চেষ্টা থাকলেও। আজ হয়ত জিকোর ভাগ্য খুব একটা ভাল ছিল না। চোট পেয়ে বাইরে যেতে হয় দলের অন্যতম ভরসা ডুডু। তবে অসাধারণ কিছু নিশ্চিত গোল সেভ করেন কাট্টিমনি। তবে প্রনয়ের ভুলে পেনাল্টির সুযোগ আসে চেন্নাই এর হাতে। আর সেই সুযোগকে দারুন ভাবে কাজে লাগায় ব্রুনো পেলিসেরি। কাট্টিমনির হাতে বল সেভ হয়ে ফিরে আসে ব্রুনোর কাছে। আর সেই ফিরতি বলেই গোল করেন তিনি। এর পরেই যেভাবে ৩ জনকে কাটিয়ে রোমিও মাপা বল পাস করেন সিমবইকে তা এককথায় অসাধারণ। একেই বলে দলগত খেলা। এই ম্যাচ যে রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্য লেখা হল তা সুপারহিট। যখন ম্যাচ ১-১। তার কিছু পরেই জোফরের দারুন গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। এই গোলে দারুন ভাবে বুদ্ধির পরিচয় দেন জিকোর ছেলেরা। ফ্রি-কিক থেকে এই গোল বুঝিয়ে দিয়েছে প্র্যাকটিস ঠিক কতটা পরিমানে করেছে গোয়া। এরপরেই কাট্টিমনির ভুলের মাশুল দিতে হল নিজেদের। খেলা তখন অতিরিক্ত সময়ে এগিয়েছে। ফলাফল ২-২। ধরে নেওয়াই হয়েছিল খেলা এগোতে পারে আরও ১৫ মিনিট। ঠিক তখনই নিজের আরও একটা গোল বাড়িয়ে দল কে জয় এনে দিলেন মেন্ডোজা। অসাধারণ ফাইনাল উপহার পেল গোয়ার স্টেডিয়াম।
গোয়াতে ক্রিসমাসের উৎসব শুরু হয়েগেছে। আর সান্তাক্লজ কি তার শহরে আসা দলকে খালি হাতে ফেরত যেতে দিতে পারে। চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হওয়া চেন্নাই এর মাথায়। বুঝিয়ে দিলেন ম্যাচের শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত যেমন কিছু বলা যায়না। তেমনই সেমিফাইনালে উঠবে কিনা সেই চিন্তা নিয়ে এগোনো দলও পারে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। বোঝা যায় এভাবেও ফিরে আসা যায়।